আর মাত্র কয়ে দিন পরেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা বিশ্বে এই দিনটি পালন করা হলেও অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের শহীদ মিনারটি।
দুই যুগ আগে নির্মিত হয় একটি পাকা শহীদ মিনার। কিন্তু নির্মাণের পর থেকেই রক্ষণাবেক্ষণ আর অযত্ন-অবহেলায় শহীদ মিনারটি দেখলে মনে হবে ময়লার ভাগাড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এলে কোনো রকম পরিষ্কার করা হলেও পরদিন থেকেই বাজারের সমস্ত ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলা শুরু হয়। শহীদ মিনারের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক কর্মীসহ উপজেলার বিশিষ্টজনেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাইস্কুল মাঠের শহীদ মিনারটির চারপাশ ও মিনারের ওপরেও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে সাধারণ মানুষের চলাফেরা বিঘ্নিত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘ভাষা শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা বাংলা পেয়েছি। আর ভাষা শহীদদের স্মৃতি ও আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ পাড়া-মহল্লায় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। শহীদ মিনার শুধু একদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়। শহীদ মিনার এভাবে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হলে এ প্রজন্মের কাছে শহীদ মিনারের গুরুত্ব কমে যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শহীদ মিনারটি দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।