রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যার মুখ ও হাত থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে, সে-ই প্রকৃত মুসলমান।’ (বুখারি) মানুষ হওয়ার জন্য চরিত্রবান হওয়া যেমন জরুরি, তেমনি অন্য মানুষের হক ও অধিকার আদায় করাও জরুরি। মানুষে মানুষে বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক থাকে। সব সম্পর্কেই কিছু হক, অধিকার ও দায়িত্ব এসে যায়। যেমন সন্তানকে মা-বাবার হক আদায় করতে হয়। মা-বাবাকেও সন্তানের হক আদায় করতে হয়।
এটি ইসলামের নির্দেশনা হিসেবে যেমন জরুরি, তেমনই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। যে ব্যক্তি মানুষ হিসেবে যতটা বড় হবে এবং মানবিকতায় যতটা পূর্ণ হবে, মুমিন হিসেবেও সে ততটা পূর্ণাঙ্গ ও পরিপক্ব হবে। যে লোক বেনামাজি ও গাফিল, তাকে যেমন আপনি পূর্ণ মুমিনের কাতারে স্থান দেন না, তেমনি যে ব্যক্তি মানুষের হক ও অধিকার আদায়ে দায়বোধশূন্য, সেও ইমানের পূর্ণতায় পিছিয়ে বৈকি!
আজকাল মানুষের হকের প্রতি এতটা উদাসীনতা দেখা যায় যে, কোনো কোনো লোক নামাজি, পরহেজগার, তাহাজ্জুদ গুজার এমনকি নিয়মিত কোনো জিকির-ওজিফাও তার ছোটে না; তবে যখন মানুষের হক ও অধিকারের কথা আসে, তখন সে নীরবে মুখ ফিরিয়ে নেয়। পরের হক আদায়ে মোটেও তার হৃদয় গলে না। মা-বাবাকে কষ্ট দেয়। ভাইবোনদের অধিকার গ্রাস করে। মানুষের হক আদায়ে বড়ই খেয়ালিপনা ও উদাসীনতা দেখায়। এমন আচরণের একজন ব্যক্তি যেমন প্রকৃত মুমিন হতে পারে না, তেমনি পূর্ণ মানুষও হতে পারে না।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক