মিঠাপুকুরে উদ্যাপন করা হয়েছে পৌষ সংক্রান্তি। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি পরিবার বাড়িতে পূজা-অর্চনা শেষে নানা ধরনের পিঠা তৈরিতে মেতে উঠে। অনেক পরিবারের সদস্যরা যৌথভাবে ভুরকা ভাতের (বনভোজন) আয়োজন করে।
সনাতন ধর্ম অনুসারীদের অনেকগুলো পার্বণ বা উৎসবের মধ্যে পৌষ সংক্রান্তি অন্যতম। পুরোহিতদের মতে, পৌরাণিক কাল থেকে পৌষ সংক্রান্তি উৎসব বা পার্বণ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
উপজেলা কেন্দ্রীয় কালি মন্দিরের পুরোহিত কানাই চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, অশুভকে বিতাড়িত করে শুভ বা মঙ্গল বরণ করা হয় পৌষ সংক্রান্তিতে। প্রতি বছর পৌষ মাসের শেষ দিন পৌষ সংক্রান্তি পালন করা হয়।
নিখিল চন্দ্র চক্রবর্তী নামে আরেক পুরোহিত জানান, পৌষ মাসের শেষ দিন সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করে এবং তাঁর পুত্র শনি দেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। এ জন্যই পৌষ সংক্রান্তি উদ্যাপন করা হয়ে থাকে।
পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে নতুন ধানের চালের গুঁড়া ও খেজুর গুড় দিয়ে নানা ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়। সঙ্গে থাকে পায়েস। উড়ানো হয় নানা রঙের ঘুড়ি। করোনার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অনেক অনুষ্ঠান ছোট পরিসরে করতে হয়েছে। কিন্তু পৌষ সংক্রান্তি পালনে করোনার প্রভাব পড়েনি। কারণ নিজ নিজ বাড়িতে এই উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁরা।