যানবাহন ও জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট ফেরিঘাট। রোববার সকাল থেকে ঘাটে আসেনি কোনো ফেরি। ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়েও যায়নি। জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে আছে ঘাটের পন্টুনটি। এদিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট রোববার সকাল থেকেই ছিল ফাঁকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাত্র এক দিনের ব্যবধানে পাল্টে গেছে মাঝিরহাট ঘাটের চিত্র। ২৪ জুন সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে খালি পড়ে রয়েছে ফেরি ঘাটে থাকা পন্টুন। পদ্মা সেতু চালুর পর যাত্রীদের কাছে আগের মতো কদর নেই ফেরিঘাটের।
শরীয়তপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য মাঝিরঘাটে আসা যাত্রী ননি গোপাল দে বলেন, শরীয়তপুর থেকে ডাইরেক্ট বাসে সিট পাই নাই। তাই বাধ্য হয়ে সিটিং গাড়িতে মাঝিরঘাট এসেছি। লঞ্চে পদ্মা পার হয়ে অন্য বাসে ঢাকা যাব।
মাঝিরঘাট এলাকার বাসিন্দা নেছার মাদবর জানান, ‘মানুষ সব পদ্মা সেতু দিয়া পার হইতাছে। আমাগো এইহান দিয়া কেউ আহে না।’
মাঝিরঘাট ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ঘাট ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, ঘাটে যানবাহন না থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই রুটে চলাচলকারী সব ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। ঘাটে যানবাহন এলে ফেরি চলাচল করবে।
দৌলতদিয়া ঘাটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান করে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার পাঁচটি ঘাটেই ফেরি রয়েছে। যেসব যানবাহন ফেরি পার হতে ঘাটে আসছে তা লাইনে না থেকেই সুবিধামতো ঘাটে গিয়ে ভিড়ছে। পাটুরিয়া থেকে বেলা ১টার দিকে ইউটিলিটি ফেরি ‘শাপলা-শালুক’ দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ঘাটে এসে ভেড়ে। প্রায় আধঘণ্টা অপেক্ষার পর অর্ধেকের বেশি খালি রেখে দুটি ট্রাক ও ৬টি ব্যক্তিগত গাড়িসহ বেশ কিছু যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়।
কমফোর্ট লাইন পরিবহনে কর্মরত দৌলতদিয়া ঘাট তত্ত্বাবধায়ক সেলিম রেজা জানান, তাঁদের এই ঘাট দিয়ে দিনরাত ২৬টি ট্রিপ বাস চলাচল করত। রোববার মাত্র তিন ট্রিপ চলে। তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে তিন ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। কিন্তু দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হতে হলে সময় লাগত ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা।