সংখ্যায় তাঁরা ১০০। বয়সেও তরুণ। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি হলেও অনেকেই আছেন চাকরিজীবী। গভীর রাতেও হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে ডাক পড়লেই যান রক্ত দিতে। তাঁদের এই নিঃস্বার্থ সেবায় প্রাণ রক্ষা পায় অসহায় কোনো রোগীর। এই তরুণেরা এককথায় রক্তের ফেরিওয়ালা। রক্তদানের নেশা যাঁদের রক্তে মেশা।
৫ বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ব্লাড ডোনার্স ক্লাব। এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যদের বর্ণনাই এতক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। অনলাইনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটি ইতিমধ্যে ফটিকছড়ির বৃহত্তম রক্তদাতা সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ফেসবুকের গ্রুপে তাঁদের ৪৮ হাজার সদস্য। নিয়মিত রক্তদাতা রয়েছেন ১০০ জন। তাঁদের যে কেউ ফেসবুকে পোস্ট ছড়িয়ে দিলেই যে কারও রক্তের প্রয়োজনে অল্পক্ষণের মধ্যে রক্তের ব্যবস্থা করেন। যেসব গ্রুপের রক্ত সহজে মেলে না, সেই গ্রুপের রক্তধারীরাও তাঁদের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
বর্তমানে এ সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন দশ সদস্যের একটি অ্যাডমিন পরিষদ।
ফটিকছড়ি ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের সক্রিয় কর্মী ইউসুফ ইমতিয়াজ জিসান বলেন, ‘আমরা চাই ফটিকছড়ির একজন রোগীও যেন রক্তের অভাবে মারা না যান।’
নাজিরহাট পৌরসভার বাসিন্দা সাংবাদিক মীর মাহফুজ আনাম ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২২ বারের মতো রক্তদান করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই ক্লাবের জন্যই উপজেলার তরুণ-যুবকেরা রক্তদানে উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসছেন।’
সংগঠনের সদস্যরা জানান, সংগঠনটি শুধু রক্তদান কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। অসচ্ছল পরিবারের মেয়েদের বিয়েতেও তারা বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাবিল চৌধুরী বলেন, ‘সংগঠনটি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমিও তাঁদের বিভিন্ন ভূমিকার কথা জানতে পেরে সহযোগিতা করেছি।’