হোম > ছাপা সংস্করণ

কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরোর বীজতলা, শঙ্কায় কৃষক

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী

সপ্তাহজুড়ে তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে নীলফামারীতে চলতি মৌসুমের বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চারার গোড়া বা পাতা পচা রোগ এবং হলুদ বর্ণ ধারণ করে দুর্বল হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। তবে বোরোর চারা রক্ষায় কৃষকদের পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখাসহ বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

নীলফামারী সদর ও ডিমলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনেকেই বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। এতে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। গত সপ্তাহে এই অঞ্চলে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। তীব্র শীতের পাশাপাশি মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিক। এ অবস্থায় জেলার কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চারার বৃদ্ধিতে নিম্ন তাপমাত্রার প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য ঘন কুয়াশা ও বেশি শীতের সময় বীজতলা সকাল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। সন্ধ্যায় পানি সেচ দিয়ে বীজতলার চারা ডুবিয়ে দিতে হবে, সকালে সেই পানি বের করে দিতে হবে। প্রতিদিন সকালে দড়ি বা কঞ্চি টেনে বীজতলার চারায় জমা হওয়া শিশির ঝরিয়ে দিতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে বোরো ধানের বীজতলার চারা হলদে হয়ে গেলে প্রতি শতক জমিতে ২৮০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। এ ছাড়া ১০ লিটার পানিতে ৬০ গ্রাম পটাশ ও ৬০ গ্রাম জিপসাম সার মিশিয়ে বীজতলায় স্প্রে করতে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, অতিরিক্ত শীতে বীজতলার চারার গোড়া বা পাতা পচা রোগ দেখা গেলে ব্যাভিস্টিন বা মেনকোজেব গ্রুপের যেকোনো একটি ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। যত দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকে, তত দিন এ পদ্ধতি প্রয়োগ করলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে।

নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কাদিখোল গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘তীব্র শীত ও কুয়াশায় বীজতলার চারাগুলো হলুদ রং ধারণ করেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলা পরিচর্যা করছি, কিন্তু চারা সেভাবে বড় হচ্ছে না।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে কৃষকদের বিভিন্ন তথ্য প্রদানসহ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীতের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে বোরো বীজতলার তেমন একটা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখাসহ বিভিন্ন পরিচর্যার পদ্ধতি অনুসরণ করায় কৃষকদের প্রশংসা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, এ বছর নীলফামারীতে বোরো বীজতলার জন্য ৪ হাজার ২৮২ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বীজতলা করা হয়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে। অন্যদিকে, বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৪ মেট্রিক টন ধান।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ