বর্ণিল আয়োজনে রংপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই বাংলার কবিদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ-ভারত কবিতা উৎসব।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উৎসবের উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. রেজাউল হক এবং লেখক ও সংগঠক মনোয়ারা বেগম। উৎসবের আয়োজক ছিল সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠন ‘ফিরেদেখা’।
রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে আয়োজিত উৎসবের প্রথম পর্বে লেখক রেজাউল করিম মুকুলের সভাপতিত্বে সমকালীন কবিতা বিষয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. শাহ সুলতান তালুকদার। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ফিরেদেখার সাধারণ সম্পাদক কবি ও প্রকাশক সাকিল মাসুদ।
এ সময় বক্তব্য দেন রাজশাহী কবি কুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, বগুড়া কবি ও প্রাবন্ধিক শিবলী মোকতাদির, রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কবি আলমগীর মালেক, সরকারি আজিজুল হক কলেজের উপাধ্যক্ষ কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক খৈয়াম কাদের, বগুড়া লেখকচক্রের সভাপতি ইসলাম রফিক প্রমুখ।
সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী ফরহাদুজ্জামান ফারুকের আঞ্চলিক কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবে আসা কবি ও আবৃত্তি শিল্পীদের কবিতা পাঠ। এতে অংশ নেন নারায়ণ চন্দ্র বর্মা, বাদল রহমান, আমজাদ হোসেন সরকার, রাজ্জাক দুলাল, শৈবাল নূর, সাফওয়ান আমিন, সোহেল রানা, এ এস এম হাবিবুর রহমান, ইসমত আরা, আতাউর মালেক, ইরশাদ জামিল, কামরুন নাহার রেনু, তৈয়বুর রহমান বাবু, শিপুন আখতার শিপু, দেলোয়ার হোসেন রংপুরী, নাজিরা পারভীন, রবীন জাকারিয়া, মাহমুদুল আলম, ইউনুছ আলী আনন্দ, শারমিন আখতার মনি, শান্তা রোমেনা, ময়নুল ইসলাম, মাসুম মোরশেদ, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, তাপস মাহমুদ ও কাব্য রাসেল।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন মাহবুবা লাভীন, হোসেন রওশন, কবি ও সাংবাদিক আফতাব হোসেন, কবি ও লেখক উমর ফারুক, ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু প্রমুখ।
উৎসবে ভারতের কোচবিহার থেকে কবি সুবীর সরকার, আলিপুরদুয়ার থেকে অম্বরিশ ঘোষ ও মাথাভাঙা থেকে সৈকত সেনের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ভিসা জটিলতায় তাঁরা আসতে পারেননি। তাঁরা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে আবৃত্তি করেন।
উৎসব রাতে সাড়ে ১০টায় শেষ হয়। এতে রংপুর বিভাগের পাশাপাশি রাজশাহী, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কবিদের মিলনমেলায় মুখর হয়ে ওঠে সংস্কৃতি পল্লিখ্যাত রংপুর টাউন হল চত্বর।