দশমিনা উপজেলায় ক্রীড়ার মানোন্নয়নে যুগোপযোগী মাঠ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভেন্যু প্রধানেরা। স্থানীয় সাংসদ এস এম শাহজাদার কাছে এ দাবি জানান তারা।
উপজেলায় বর্তমানে ২৫টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এ ছাড়া রয়েছে ১টি মহিলা কলেজ, ১টি টেকনিক্যাল কলেজ, ১টি সরকারি কলেজ, ১টি ইউনিয়ন পর্যায়ের কলেজ ও ১৯টি ফাজিল, কামিল, দাখিল ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলায় কম–বেশি প্রায় ২০টি খেলার মাঠ রয়েছে। কিন্তু সঠিক পরিচর্যার অভাবে মাঠগুলো গোচারণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
এসব মাঠে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসার খেলাধুলাসহ বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দিন সৈকত বলেন, ‘উপজেলায় আমাদের মাঠে জাতীয় সকল প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু মাঠটি ঠিক ২০ বছর আগের মতো আছে। এ মাঠের চারপাশে ড্রেন দরকার, বালু দিয়ে মাঠ ভরাট করতে হয়। যা আমাদের স্কুলের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।’
সাবেক ফুটবলার সিকদার মন্টু বলেন, ‘দশমিনা উপজেলায় ক্রীড়ার মানোন্নয়নে কোনো কাজ হচ্ছে না। বর্ষায় মাঠে জলাবদ্ধতা, আর শুকনা মৌসুমে উঁচু-নিচু মাঠ, ঘাস। আমাদের ছেলেরা মাঠে যায় না, কারণ মাঠের পরিবেশ তাদের উপযোগী নয়।’
এস এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফোরকান সিকদার বলেন, ‘বিদ্যালয়ের মাঠ স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে সংস্কার করা সম্ভব নয়। একটি মাঠ ভরাট করা, গোলবার, ড্রেন ইত্যাদি তৈরি করা ব্যয়বহুল কাজ। এ কাজ করতে হলে বাজেট লাগবে।’
স্থানীয় সাংসদ এস এম শাহজাদা বলেন, ‘উপজেলায় ক্রীড়ার মানোন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। ৬টি মাঠ খেলাধুলার উপযোগী করার জন্য কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।’