বাগেরহাটের চিতলমারী থানা-পুলিশ কৌশলে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মেয়ের বাবাসহ এলাকাবাসী পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, উপজেলার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা গত রোববার সন্ধ্যায় থানায় লিখিতভাবে জানান যে তাঁর মেয়ে এবং প্রতিবেশী এক ব্যক্তির এসএসসি পরীক্ষার্থী ছেলে নিখোঁজ হয়েছে। ছেলের বাবা তাদের গোপনে বিয়ে দিতে চায়। এরপর ছেলের বাবাকে থানায় ডেকে আনা হয়।
কয়েক ঘণ্টা পর রাতে প্রেমিক-প্রেমিকা থানায় হাজির হয়। কিশোর-কিশোরী পরস্পরকে ভালোবাসে বলে জানায়। বয়স পরিপূর্ণ হওয়ার পর তারা বিয়ে করবে বলে তাদের বোঝান হয়। পরে তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বাল্যবিয়ের বিষয়ে চিতলমারী থানা-পুলিশ কঠোর অবস্থানে। কেউ এটা করতে বা করাতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না।
ওই ছাত্রীর বাবা জানান, রোববার সকালে তার মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিক পালিয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে জানানো হয়। মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার নির্দেশে আকাশ শ্রাবণ মহিলা উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ছেলের বাড়িতে গিয়ে ছেলের বাবাকে বাল্যবিয়ে না দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি ছেলে-মেয়ের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। বাধ্য হয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশে জানান। পরে পুলিশের উদ্যোগে তাঁর মেয়েকে পেয়েছেন।