হোম > ছাপা সংস্করণ

বন্ধুত্বের অবসান

সম্পাদকীয়

ডেনমার্কের রূপকথার নায়ক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ইংল্যান্ডের ডাকসাইটে সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের। সেটা ১৮৪৭ সাল। দুজনই দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হলেন।

প্রথম যখন তাঁদের দেখা হলো, তখন অ্যান্ডারসন লিখলেন, ‘আমি যেমন ভেবেছিলাম, ঠিক তেমনি ডিকেন্স।’ ডিকেন্সও কি ছেড়ে দেবেন? তিনি তাঁর সদ্য প্রকাশিত বইটি অ্যান্ডারসনকে দেওয়ার সময় লিখলেন, ‘হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যন্ডারসনকে, তাঁর বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী চার্লস ডিকেন্সের উপহার, জুলাই, ১৯৪৭।’
এরপর তাঁদের মধ্যে চিঠিপত্রের আলাপ চলতে থাকল। বেশির ভাগ চিঠিই লিখতেন অ্যান্ডারসন। সেখানে থাকত ডিকেন্সের ভূয়সী প্রশংসা। সব সময় নয়, মাঝে মাঝে উত্তর দিতেন ডিকেন্স। এর ১০ বছর পর ১৮৫৭ সালে অ্যান্ডারসন মনে করলেন, এবার তাহলে ডিকেন্সের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া যাক।

কিন্তু এই ১০ বছরে জীবনটা বদলে গেছে ডিকেন্সের। জীবনের অনেক কিছুই জটিল হয়ে পড়েছে। তাই অ্যান্ডারসন এ সময় তাঁর বাড়িতে আসুন, থাকুন—এটা চাইছিলেন না ডিকেন্স। কিন্তু সে কথা তো আর অ্যান্ডারসন জানেন না। তাই তিনি চলে এলেন ডিকেন্সের বাড়িতে। বিরক্ত ডিকেন্স তাঁর বন্ধুদের বলতে লাগলেন, ‘অ্যান্ডারসন ডেনমার্কের ভাষা ছাড়া আর কোনো ভাষায় কথা বলতে পারে না। এমনকি আমার মনে হয়, সেই ভাষাতেও ঠিকভাবে কথা বলতে সে অপারগ!’ পাঁচ সপ্তাহ থাকলেন অ্যান্ডারসন ডিকেন্সের বাড়িতে। ডিকেন্স তাতে বিরক্ত হলেন। এমন সব ছোট ছোট সমস্যা তৈরি করলেন অ্যান্ডারসন যে ডিকেন্সের মনে হলো, এখানে অ্যান্ডারসন বেশিদিন থাকলে তিনি বুঝি পাগল হয়ে যাবেন। ডিকেন্স বাড়ির জানালায় টানিয়ে দিলেন একটা চিরকুট, তাতে লেখা—এই ঘরে হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন পাঁচ সপ্তাহ বসবাস করেছিল, কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছিল, এ বুঝি বছরের পর বছর সে থেকেছে।’

এই চিরকুটই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বকে শেষ করে দিয়েছিল।

সূত্র: জেন ডট রু

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ