খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর সদর উপজেলার মধ্য পেয়ারপুর এলাকায় ওয়াহিদ তালুকদার (৩৫) নামের এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে বলে দাবি মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর থানা-পুলিশ জানায়, তিন দিন আগে র্যাকেট খেলা নিয়ে সদর উপজেলার মধ্য পেয়ারপুর এলাকার ওয়াহিদু তালুকদারের ভাতিজা রিয়াদ তালুকদারের সঙ্গে বিরোধে জড়ান একই এলাকার আকবর তালুকদারের ছেলে সাব্বির। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিও হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিস মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। এরই জেরে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে সাব্বির ও তাঁর লোকজন ওয়াহিদ তালুকদারের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা ওয়াহিদকে উদ্ধার মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফরিদপুর হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ওয়াহিদ মারা যান।
নিহতের মা সাজেদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এমন শান্তি দেওয়া হোক, যাতে আর কেউ মানুষ খুন করার সাহস না পান। আমার ছেলের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। তাদের কীভাবে লালন-পালন করব, তা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত।’
নিহতের মেয়ে স্বর্ণা আক্তার বলেন, ‘আমার বাবাকে সাব্বির, আক্কাবর, মজিবর, সোমরাজ, শাওন, লিয়নরা মিলে পিটিয়ে খুন করেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সবার ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে বলে স্থানীয়রা জানান। তাদের বাড়ির কুদ্দুস তালুকদারের স্ত্রী রাশিদা বেগম বলেন, ‘মারা যাওয়ার কথা শুনেই সাব্বিরসহ বাড়ির অন্যরা চলে গেছেন। আমরা নিরীহ মানুষ। আমরা ভয়ে আছি। কখন আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা হয়, সেই চিন্তায় আছি।’
মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘নিহতের ঘটনা শোনার পরই আমরা এলাকায় গিয়েছি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’