বান্দরবানের থানচিতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর বহিষ্কৃত নেতাকে বরণ করে নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তিন্দু ইউপি চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরাকে বহিষ্কারের দুই মাস পর গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তাঁকে ওই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এদিকে দলীয় ঘোষণার আগেই এই ফুলেল সংবর্ধনার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলের অনেক নেতা-কর্মী।
মঙ্গলবার ফুলেল সংবর্ধনার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মালি রাং ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক সিমন ত্রিপুরা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাসিংঅং মারমা, যুবলীগের সহসভাপতি চহাইনু মারমা, রেমাক্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হ্লাথোয়াইপ্রু মারমাসহ সহযোগী সংগঠনের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দলের সিনিয়র সহসভাপতি উবামং মারমা, সহসভাপতি মোহসিন মিঞাসহ কয়েকজন বলেন, বহিষ্কৃত এক নেতাকে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। দলে অনুপ্রবেশকারীরা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। এতে উপজেলা সভাপতির কোনো অনুমতি আছে কি না, তা জানেন না।
ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। চতুর্থ ধাপে তিন্দু ইউপি নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মংপ্রুঅং মারমাকে পরাজিত করেন। এর আগেই গত ৬ ডিসেম্বর জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাঁর বহিষ্কার আদেশের বিষয়টি জানা যায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে নৌকা প্রতীকে নবনির্বাচিত তিন চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে বরণ করার কথা ছিল। এ সময় বহিষ্কৃত নেতাকেও ফুল দিয়ে বরণ করেন নেতা-কর্মীরা।
ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ‘উপজেলার নবনির্বাচিত ৪ ইউপি চেয়ারম্যানের জন্য দুটি করে ফুলের মালা ও একটি তোড়া বানিয়ে নিয়ে এসেছিলেন নেতা-কর্মীরা। আমার জন্যও ছিল। আমাকেও দাঁড়াতে বলেছেন। তাই তাঁদের সংবর্ধনা গ্রহণ করেছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি বলেন, ‘আমরা শপথ শেষে বের হওয়ার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। তখন তখন তিনি পাশে দাঁড়ানো থাকায় ভুলে তাঁকেও ফুল দিয়েছেন নেতা-কর্মীরা।’