শেরপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে পিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুজন পলাতক রয়েছেন। এ দিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং বক্তব্য রেকর্ডের জন্য রাজি হচ্ছেন না ভুক্তভোগী ওই নারী। ফলে বিপাকে পড়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে শেরপুর সদর উপজেলার নন্দীরবাজার ও মুকসুদপুর এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়। গত রোববার রাত ১১টার দিকে ওই নারীকে চরমুচারিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়ার হকার ফকির মিয়া, পুরানপাড়ার আলম মিয়া, নন্দীরপাড়ার জুয়েল ফকির ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বরাটিয়ার আচার বিক্রেতা হামেদ জোর করে তুলে নিয়ে যায় মুকসুদপুর এলাকায় খোলা মাঠে। এ সময় ওই নারী চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের অভিযোগে ফকির মিয়া ও হামেদ আলীকে আটক করে ধোলাই দেন। পরে তাঁদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ সময় বাকি দুজন পালিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু দুর্বৃত্তের কারণে মানসিক ভারসাম্যহীনও নিরাপদে থাকতে পারছেন না। এমন অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনার ভুক্তভোগী মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্তের স্বার্থে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। তিনি যাকে সামনে পাচ্ছেন, তাকেই মারধর করছেন। ভুক্তভোগীর নাম-পরিচয় শনাক্তের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’