পঞ্চগড়ে বৈরী আবহাওয়ায় শিশু ও বয়স্কদের মাঝে নানা ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে। দিনে তীব্র গরম ও রাতে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ার কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি হচ্ছে বলে চিকিৎসকেরা জানান।
বসন্তকালে পঞ্চগড়ে এখনো শীতের রেশ রয়ে গেছে। দিনের বেলা তীব্র গরম এবং সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের হিসাব মতে পুরো এপ্রিল মাস রাত এবং দিনের তাপমাত্রার এই ফারাক থাকবে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মনোয়ারুল ইসলাম জানান, পাঁচ মাস ধরে ঠান্ডা আবহাওয়ার পর হঠাৎ গরম পড়ায় শিশু এবং বয়স্করা জ্বর, সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে পড়বে। আপত্কালীন সময়ে শিশুদের নানাভাবে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহা বলেন, ‘হিমালয়ের কাছে এই জেলার অবস্থান হওয়ার কারণে সারা দেশের চেয়ে এখানকার দিন এবং রাতের তাপমাত্রার যে পার্থক্য সেটি স্বাভাবিক হতে আরও এক মাস সময় লাগবে।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কায়েতপাড়া গ্রামের শেখ আব্দুল্লাহ জানান, তিনি ছয় দিন ধরে জ্বর এবং হাঁপানি রোগে ভুগছেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর কিছুটা সুস্থ। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পঞ্চগড় আদর্শ ক্লিনিকে তিন বছরের শিশু হৃদয়কে নিয়ে মা রাবেয়া চিকিৎসা নিতে এসেছেন। ঠান্ডাজনিত রোগে অসুস্থ হয়েছে তাঁর সন্তান। চিকিৎসাসেবা পেয়ে এখন কিছুটা সুস্থ। তাই তিনি সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা সিরাজ দৌল্লা পলিন বলেন, ‘হাসপাতালের বহির্বিভাগে গড়ে ৬০ শতাংশ রোগীই বর্তমানে শিশু এবং বয়স্ক। আবহাওয়ার তারতম্যে এসব রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ নিবিড় পর্যবেক্ষণের কোনো ঘাটতি নেই।’