হোম > ছাপা সংস্করণ

১১ জেলে ফিরেছেন এখনো জিম্মি ১১

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের বাইরে সোনাদিয়া এলাকায় গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলদস্যুরা দুটি ফিশিং বোটে ডাকাতিসহ ২২ জেলেকে জিম্মি করে। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ তিনজনসহ ১১ জেলে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের আনোয়ারার গহিরা উপকূলে ফিরে এসেছেন। তবে ১১ জন এখনো জলদস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরে আসা জেলেরা।

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এক জেলেকে ছাড়তে মুক্তিপণ দাবি করছে বলে জানান ডাকাতির শিকার বোটের মালিক জাহাঙ্গীর আলম।

কোস্টগার্ড গহিরা সাঙ্গু স্টেশন কমান্ডার আরশাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া জেলেদের উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে কোস্টগার্ড।

কোস্টগার্ড ও ফিরে আসা জেলেরা জানান, বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় গত সোমবার রাতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নুরুন্নবীর মালিকানাধীন বোটে জলদস্যুরা হামলা করে বোটের মালামালসহ ১৭ জেলেকে জিম্মি করে মারধর করে।

এ ঘটনার এক দিন পর জলদস্যুরা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনোয়ারার পূর্ব গহিরার জাহাঙ্গীর আলমের বোটে হামলা করে। বোট থেকে মালামাল লুটে জেলেরা বাধা দিলে গুলি চালায়। এতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহাঙ্গীরের বোটের মাঝিকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ভোলার নুরুন্নবীর মালিকানাধীন বোটে জিম্মি হওয়া সাত জেলে লাফ দিয়ে জাহাঙ্গীরের বোটে চলে আসেন। এরপর ১১ জেলে ডাকাতের জিম্মি থেকে গতকাল সকালে আনোয়ারার গহিরা উপকূলে ফিরে আসতে সক্ষম হন।

ফিরে আসা জেলেরা হলেন ভোলার চরফ্যাশনের বাসিন্দা মহিউদ্দিন (৭০), মো. কালু (২৪), মনির হোসেন (৪০), তরিকুল ইসলাম (৬৪), জয়নাল আবেদীন (৬০), মিলন (৪০) ও মো. ফরিদ (৩৫) এবং পূর্ব গহিরার আইয়ুব আলী (৩০), নেজাম উদ্দিন (৩০), শওকত (৩২) ও মো. পারভেজ (২২)।

তাঁদের মধ্যে ফরিদ, মহিউদ্দিন ও কালু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বাকিদের মারধর করে আহত করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ ফরিদ বলেন, জলদস্যুরা তাঁদের বোটে হামলা চালিয়ে ১৭ মাঝিমাল্লাকে জিম্মি করে। পরে তাঁরা ৭ জন আনোয়ারার জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন বোটে করে পালিয়ে আসেন।

ডাকাতির শিকার হাফেজ মৌ. মনির উদ্দীন নামের বোটের মালিক আনোয়ারার পূর্ব গহিরার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আট দিন আগে পাঁচ মাঝিমাল্লা নিয়ে আমার মালিকানাধীন হাফেজ মৌ. মনির আহমদ বোটটি বঙ্গোপসাগরে যায়। মাছ ধরার সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলদস্যুরা আমার বোটে হামলা করে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে। এ সময় আমার এক জেলেকে জলদস্যুরা জিম্মি করে নিয়ে যায়। বর্তমানে অপহৃত বোটের মাঝি জামালকে ফিরেয়ে দিতে জলদস্যুরা ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিলে তাঁকে ফেরত দেবে বলে জানায় জলদস্যুরা।’

এ বিষয়ে সাঙ্গু কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কমান্ডার আরশাদুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল সকাল ৮টায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পাই, বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলায় আহত ব্যক্তিরা ফিরে এসেছেন। পরে আমরা জেলেদের পূর্ব গহিরার ফকিরহাট এলাকা থেকে উদ্ধার করি। বাকি অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকৃত জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ