সন্ধ্যা নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ৯ নম্বর গুঠিয়া ইউনিয়নের চিরচেনা গ্রামগুলো। বর্ষার মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের কবলে পরে সব হারাতে শুরু করছেন উজিরপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামের নদী পারের মানুষেরা। উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের মানুষের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের কারণে গত কয়েক বছর ধরে ওই ইউনিয়নের শত শত পরিবার নদীতে তাদের ভিটাবাড়ি হারিয়ে চলে গেছেন অন্যত্র।
উজিরপুরের মানচিত্র থেকে গুঠিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী দাশেরহাট বাজার, হানুয়া, আশোয়ার, বান্না, রৈভদ্রাদী, নিত্যানন্দী ও কমলাপুর গ্রাম বিলুপ্তি হওয়ার পথে।
ইতিমধ্যে হানুয়া বারপাইকা গ্রাম, আশোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার, বড় বাড়ি জামে মসজিদ, হানুয়া মাদ্রাসা, কালীখোলা মন্দির কয়েক মাস আগে ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ওই এলাকার মানুষ নদী ভাঙনের দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। হুমকির মুখে রয়েছে কাকরাদাড়ী বেড়িবাঁধ প্রকল্প,
পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধে তেমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় ঐতিহ্যবাহী দাসের হাট বাজারে ওই ছয়গ্রামের নারী-পুরুষ মিলে মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে দাশেরহাট বাজার কমিটির সভাপতি দুলাল খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গুঠিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. দেলোয়ার হোসেন, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, সন্ধ্যা নদী ভাঙন রোধে বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠিয়েছি। বরাদ্দ এলে ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ শুরু করবো।
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস বলেন, উজিরপুরের নদী ভাঙন এখন বড় সমস্যা। তবে এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।