আজ ১৪ ডিসেম্বর বান্দরবান মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্থানী হানাদারমুক্ত হয় বান্দরবান পার্বত্য জেলা। এদিন সাবেক জেলা প্রশাসক কার্যালয় (তখন মহকুমা সদর) চত্বরে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে বিজয়োল্লাস করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
তথ্যমতে, মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ১৩ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যখন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলি হয়, তখন তারা এখানে থাকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয়। একপর্যায়ে তাঁরা বান্দরবানের পার্শ্ববর্তী ধোপাছড়ি দিয়ে চন্দনাইশ হয়ে পালিয়ে যান। পরের দিন ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীন হয়।
বান্দরবানের কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা সদরের কালাঘাটা এলাকা যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত হলেও নিউ গুলশান, ডলুপাড়া, ক্যানাইজো পাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি হিসেবে ছিল।
মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন তারু মিয়া বলেন, ‘আমি একটি স্বাধীন দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে আমরা আবার যেন কোথায় হারিয়ে গেলাম।’
বান্দরবান পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বান্দরবান হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। বান্দরবানের বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুরোনো জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের (তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক কার্যালয়) সামনে সমবেত হয়। তৎকালীন এমএনএ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ বান্দরবানে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। আবু সালেহ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাসিন্দা ছিলেন।