লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পরোটা, পুরি, শিঙাড়াসহ তেলে ভাজা খাবারের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ভাত, মাছ, মাংস, সবজির দাম না বাড়লেও পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মিষ্টি জাতীয় খাবারের দাম।
রেস্তোরাঁর মালিকেরা বলছেন, সবজি ও মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভোজ্যতেল ও গ্যাসের দাম। এ ছাড়া ৫৩০ টাকার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। খাসির মাংস ৬০০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ টাকায়। মাছের দামও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। এতে খাবার তৈরি করতে খরচ বেশি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে খাবারের দাম বা পরিমাণ কম দিচ্ছেন তাঁরা।
রিকশা, অটোরিকশা শ্রমিকসহ দিনমজুরেরা বলছেন, ‘আমরা দিন আনি, দিন খাই। আমরা দৈনিক যে আয় করি এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খাওয়ার জন্য রেখে দিই। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে খেতে গেলে অন্যান্য খরচ মেটাতে পারি না। এ জন্য হোটেলে ডাল ভাতের বাইরে কিছু খেতে পারি না। ভাতের দাম না বাড়লেও পরিমাণ কমানো হয়েছে। আগে ১৫ টাকায় যে পরিমাণ ভাত দেওয়া হতো এখন সেই পরিমাণ দেওয়া হচ্ছে না।’
কালীগঞ্জে একটি বহুজাতিক কোম্পানির সহকারী বিক্রয় প্রতিনিধি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগে হোটেলে তিন বেলা খেতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা লাগত এখন সেখানে ২০০ টাকার ওপরে লাগে। বেতন কিন্তু এক টাকাও বাড়েনি। কি যে কষ্টে আছি বোঝাতে পারব না।’
চামটাহাটের মাংস বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আগে হোটেলের জন্য এক কেজি মাংসে ১০ পিস করা হতো এখন হোটেল মালিকদের নির্দেশে ১২ পিস করে দিতে হচ্ছে। এতে মাংসের টুকরো একটু ছোট হচ্ছে।’
তুষভান্ডার বাজারের যতীন অ্যান্ড সন্সের মালিক দেবদাস রায় বাবুল বলেন, ‘সবজি ও মুদি পণ্য, তেল, গ্যাস, মাংসসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দাম না বাড়িয়ে কোনো উপায় নেই। খাবারের মান কীভাবে ধরে রাখব জানি না। হোটেলে বিক্রিও কমেছে।’