হোম > ছাপা সংস্করণ

চরণ দাসের চোখে এখন শুধুই অনিশ্চয়তা

জহিরুল আলম পিলু, শ্যামপুর

মাথায় রং বেরঙের টুপি। গায়ে ঝলমলে রাজকীয় পোশাক। মাঝে মাঝে বেজে ওঠে বিভিন্ন গানের সুর। সঙ্গে ড্রামের দ্রিমদ্রিম, করতালের ঝমঝমানি আর বিউগলের আওয়াজ। এভাবেই প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে মানুষকে বিনোদিত করে আসছে ফেলু ব্যান্ড পার্টি। এক সময় চাহিদা বেশি থাকায় শিডিউল দিতে হতো ভেবেচিন্তে। কিন্তু ডিজিটাল এই যুগে অনেকটাই অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে ব্যান্ড পার্টি। এখন মাসে দুই-তিনটা ডাক আসে। কোনো মাসে তাও থাকে না। তাই এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এখন টিকতে পারছেন না।

একসময় যাত্রা, আলকাপ গান, মঞ্চনাটক, পালাগান, সার্কাস, বিয়ে, মিছিল-মিটিং, দেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে ব্যান্ড পার্টির আধিপত্য ছিল লক্ষণীয়। কিন্তু আধুনিক এ যুগে এসব অনুষ্ঠানে ব্যান্ড পার্টির চাহিদা অনেক কমে গেছে।

ফেলু ব্যান্ড পার্টির কর্ণধার চরণ দাস কদমতলী থানার পূর্ব-জুরাইনের বাসিন্দা। বয়স ৭২ বছর। ২২ বছর বয়সে ১৯৭২ সালে পৈতৃক এ ব্যান্ড পার্টির হাল ধরেন চরণ দাস। এই বাদ্যদলের সদস্য পাঁচজন। তাঁরা হলেন চরণ দাস, হরিনাথ, শংকর, সূর্য্য কুমার ও স্বপন।

তাঁদের বাদ্যযন্ত্রগুলো হলো—বিউগল, সাইড ড্রাম, ঢোল, করতাল ও ঝুনঝুনি। এসব বাদ্যযন্ত্র ও গানের ছন্দে একসময় সামাজিক, রাজনৈতিক উৎসব প্রাণবন্ত হয়ে উঠত। তাঁদের সুরের ছন্দে নাচে-গানে মেতে উঠতেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।

চরণ দাস বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে আমি বাপ-দাদার এই পেশার হাল ধরেছি। একসময় চাহিদা এত বেশি ছিল যে প্রোগ্রামের শিডিউল দিতে পারতাম না। আর এখন মাসে গড়ে দুই-তিনটা ডাক আসে। কোনো মাসে তাও পাই না। প্রোগ্রাম পেলেও আগের মতো পয়সা-কড়ি পাই না। একটা অনুষ্ঠানে গেলে ৪-৫ হাজার টাকা পাই। তা ভাগ করে নিতে হয় পাঁচজনের। বয়স বাড়ায় আগের মতো আর বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারি না। ফলে আমার এক সন্তানকে এই ব্যান্ড পার্টির দায়িত্ব দিয়েছি। সে অন্য কাজের পাশাপাশি এর হাল ধরেছে। সরকার সুদৃষ্টি না দিলে এই পেশাটি একেবারে হারিয়ে যাবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ