মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেনের পক্ষে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কাজ না করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাতুব্বরকে মারধর করা হয়েছে। প্রার্থী ইসমাইলের ছেলে বেলায়েত হোসেন তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মাহমুদুল হাসান। গত সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের ত্রিভাগদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সুলতান মাতুব্বরকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাতুব্বর কুনিয়ার ত্রিভাগদী বাজারে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেনর ছেলে বেলায়েত হোসেন ও কয়েকজন মিলে তাঁকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে থাকেন। তিনি বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত সুলতান আহমেদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে বেলায়েত হোসেনসহ ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সুলতান মাতুব্বর বলেন বলেন, ‘ইসমাইলে ছেলে সন্ত্রাসী নিয়ে এর আগে আমার বসতবাড়িতে হামলা চালান। এ সময় আমার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ফেলে হত্যার হুমকি দেন তাঁরা। যে কোনো সময় ইসমাইল হোসেনের লোকজন আমাদের মেরে ফেলতে পারেন।’
অভিযোগের বিষয় বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাকে কে বা কারা মেরেছে, তা জানি না। এখন তিনি শত্রুতার বসে আমাদের মামলায় জড়িয়েছেন।’
সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছেন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’