হোম > ছাপা সংস্করণ

তালতলীতে মাঘের বৃষ্টি তরমুজের চারার ক্ষতি

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় মাঘের হঠাৎ বৃষ্টিতে তরমুজখেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে প্রায় ১৫ হেক্টর জমির তরমুজের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। বেশির ভাগ চাষি বেসরকারি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ শুরু করেছিলেন। আগাম তরমুজ চাষাবাদের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে রূপ নিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে চাষিরা তরমুজখেত করেন। গত শুক্রবার রাতের আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতে তরমুজখেত তলিয়ে গেছে। খেতে পানি জমে উঠতি গাছগুলো পচে যাচ্ছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। মুনাফার বিষয় বাদ দিয়ে কীভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। আবার নতুন করে খেতে তরমুজের চারা বপন করলেও তেমন ফলনের আশা দেখছেন না। সরকারি সহযোগিতা পেলে কিছুটা ক্ষতিপূরণ হবে বলেও জানান কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২০ জন তরমুজচাষি ৭২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করেন। গত শুক্র ও শনিবার দুই দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার ২৫ তরমুজচাষির ১৫ হেক্টর জমির উঠতি তরমুজ চারার ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, কৃষিখেতজুড়ে তরমুজের বীজতলা ও চারাগাছ পানিতে ডুবে আছে। খেত থেকে পানি সরাতে চাষিদের কেউ নালা কাটছেন, কেউ সেচ করছেন। পানি নিষ্কাশন করে গাছগুলো বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছে। তবে গত দুই দিনে রোদ থাকায় সেই কষ্ট অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। তা হলো বৃষ্টির পর রোদ থাকায় পাতাগুলো শুকিয়েছে ও অধিকাংশ উঠতি গাছ মারা যাচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্ত তরমুজচাষি ইদ্রিস ফকির বলেন, ‘ঋণের ৫০ হাজার টাকায় তরমুজ চাষ শুরু করেছিলাম। মাঘের অকাল বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন নতুনভাবে তরমুজ চাষ শুরু করার সামর্থ্য নেই।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ১০ বছর ধরে বিভিন্ন চাষাবাদ করে আসছি, কিন্তু সরকারিভাবে সার, ওষুধ ও কোনো ধরনের বীজ পাইনি।’

উপজেলার সোনাকাটা এলাকার তরমুজচাষি সোবাহান মিয়া বলেন, ‘গত বছর ভালো ফলন দেখে এ বছর আগাম তরমুজ চাষ শুরু করেছিলাম। মাঘের বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেছে। আমি ঋণ নিয়েই এই তরমুজ চাষ শুরু করেছি। নতুনভাবে চাষাবাদ করার সেই টাকা আমার নেই। তাই সরকারিভাবে এখন যদি কিছু সহযোগিতা করা হয়, তাহলে কিছুটা ক্ষতিপূরণ পোষানো যাবে।’

তালতলী কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সি এম রেজাউল করিম বলেন, ‘তরমুজচাষিদের জন্য সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা করার সুযোগ নেই। চাষিদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, কৃষকদের সার-ওষুধ ও বীজ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে দেওয়া হয়। তাঁরা কীভাবে দেন, সেটা আমরা জানি না।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ