অবিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ৮টি দলের পক্ষ থেকে তারা স্মারকলিপি দেয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেটে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি থাকার কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশক ধরে বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) প্রতিনিধি নির্বাচন। নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া সিনেট ও সিন্ডিকেটের কার্যক্রম কোনো ক্রমেই বৈধ হতে পারে না।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর রাকসু নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ না নিলেও রাকসুর নাম ব্যবহার করে রাকসুর তহবিলের অর্থ খরচ করে ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী’ এবং ‘মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন করে। নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধির মতামত ছাড়াই রাকসুর তহবিল ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং অগণতান্ত্রিক। গত ১৭ই ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণে উন্মুক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশগ্রহণকারী সব সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতা রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
দাবির পক্ষে ৮টি দল হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিঠু, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ খান প্রমুখ।