বঙ্গবন্ধু সেতুর ওজন স্কেল নষ্ট এবং ওই সময়ের মধ্যে সড়কে দুর্ঘটনার কারণে গতকাল শুক্রবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি ও অসুবিধায় পড়েন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা।
গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কটিতে ১৪ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘণ্টা এ যানজট স্থায়ী ছিল।
শ্যামলি ট্রাভেলসের চালক সেলিম বলেন, এলেঙ্গা থেকে সেতু দশ মিনিটের রাস্তা এক ঘণ্টায় আসলাম। এতে আমাদের যাত্রীরা অনেক অসুবিধা ও ভোগান্তিতে পড়েছেন। একতা ট্রাভেলসের যাত্রী নুসরাত বলেন, পৌনে এক ঘণ্টায় সেতুর কাছাকাছি এসে আবার থেমে আছে বাস। বাচ্চাদের খুদায় কষ্ট হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, সেতুর তিনটি ওজন স্কেলের একটি নষ্ট হওয়ার কারণে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাত একটায় মহাসড়কের ভুঞাপুর লিঙ্করোড সংলগ্ন এলাকায় একটি পরিবহনের পেছনে আরেকটি পরিবহনের ধাক্কা দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবহন উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, মহাসড়কের ঢাকাগামী ও উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে এবং ভোরে অন্যান্য দিনের মতো পরিবহনের চাপ থাকায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার সকালে ট্রাফিক পরিদর্শক হারুন অর রশিদ জানান, ডিউটিতে আসার পরই যানজট দেখা গেছে। তবে কি কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সেটা জানা যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে মালবাহী অতিরিক্ত ট্রাকের চাপে যানচলাচলে ধীরগতির ফলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুর পূর্ব প্রান্তের তিনটি ওজন স্কেলের একটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভূঞাপুর লিঙ্ক রোডে দুর্ঘটনার ফলে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের তৎপরতায় সকালের মধ্যেই যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।