হোম > ছাপা সংস্করণ

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পদ অবনতিসহ প্রত্যাহার

তারাগঞ্জ প্রতিনিধি

তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছা. শামসুন্নাহারকে পদ অবনতিসহ প্রত্যাহার করা হয়েছে। দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও করোনার টিকাদান কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের পর তাঁর বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, শামসুন্নাহারকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদের বিপরীতে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা পদে বগুড়ার শিবগঞ্জের আলীয়াহাট ২০ শয্যার হাসপাতালে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, শামসুন্নাহার তারাগঞ্জ হাসপাতালে যোগদান করার পর চিকিৎসকদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। তাঁর অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে চিকিৎসকেরা ৮ আগস্ট জেলা সিভিল সার্জন ও রংপুরের বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

এ ছাড়া উপজেলায় করোনার টিকাদানে নিয়োজিত আটটি বুথের ১৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৩২ জন স্বেচ্ছাসেবীর জন্য ৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ করা হলেও তা স্বেচ্ছাসেবীরা পাননি। বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেন। টাকা না পাওয়া স্বেচ্ছাসেবীরা সিভিল সার্জনের কাছে ২৪ আগস্ট লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্তের পর ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রতিবেদন জমা করে।

তদন্তের জেরে শামসুন্নাহার অভিযোগ তুলে নিতে স্বেচ্ছাসেবীদের বিভিন্নভাবে চাপ দেন। হেনস্তার শিকার হন এক স্বাস্থ্য সহকারী।

দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তের প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর গত মঙ্গলবার শাসমুন্নাহারকে প্রত্যাহার করা হয়। তিন কার্য দিবসের মধ্যে তাঁকে বদলিকৃত জায়গায় যোগদানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক চিঠিতে বলা হয়েছে।

শাসমুন্নাহারকে প্রত্যাহারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনের পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াতেন। হাসপাতালে কোনো নিয়ম মানতেন না। নিজের খেয়াল খুশি মতো অফিস করতেন। যার ফলে হাসপাতালের পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থা নুয়ে পড়েছিল।’

একাধিক স্বেচ্ছাসেবী আজকের পত্রিকাকে জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাসমুন্নাহার তাঁদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা ভুয়া ভাউচার দিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগে পদ অবনতিসহ তাঁকে প্রত্যাহার করা হলেও ভুক্তভোগীরা বরাদ্দ টাকা পাননি। টাকা না পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, ‘তারাগঞ্জের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামসুন্নাহারের বদলির আদেশ পেয়েছি। তাঁকে বগুড়ার শিবগঞ্জের আলীয়াহাট হাসপাতালে আরএমও পদে যোগদানের কথা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ