পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তীব্র শীতে শ্রমজীবী মানুষ কাজ করতে না পারায় অসহায় হয়ে পড়েছেন। দুই সপ্তাহ ধরে এই জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে অবস্থান করছে। কম তাপমাত্রার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
বুধবার সকালে রোদ দেখা গেলেও উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। হাটবাজারগুলোতে দোকানপাট দেরিতে খুলতে দেখা যায়। অনেক স্থান খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীতে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়ছে। ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতে জ্বর-সর্দি, কাশি, অ্যাজমা, সাইনোসাইটিস, ইসনোফিলসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কায় চিকিৎসকেরা রোগীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, হঠাৎ করেই তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, সরকারি-বেসরকারি মিলে জেলায় ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শীতবস্ত্রের আরও চাহিদা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগির আরও বরাদ্দ পাওয়া যাবে।’