ভোলার লালমোহনে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন মো. আব্দুল লতিফ নামের এক কৃষক। লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা এলাকার মোজাফ্ফর আহমেদ পণ্ডিত বাড়ির আব্দুল লতিফ ৬ শতাংশ জমিতে এ টমেটো চাষ করেন। অসময়ে চাষ করা টমেটোর ফলনও ভালো পেয়েছেন। আব্দুল লতিফ লালমোহন ইউনিয়ন ডাকঘরের পোস্টমাস্টার। এর পাশাপাশি কৃষিকাজও করেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জ্যেষ্ঠ থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বারি হাইব্রিড-৮ জাতের এ টমেটো চাষ করা হয়। বীজ রোপণ থেকে ৪ মাস এ টমেটো গাছের জীবনকাল। প্রতিটি টমেটো গাছে গড়ে অন্তত ৩০টি ফল হয়। প্রতিটির গড় ওজন প্রায় ৫০ গ্রাম। গাছ প্রতি গড়ে টমেটো হয় দেড় কেজি।
আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কৃষি অফিসের স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্টের (এসএসিপি) আওতায় আমাকে টমেটো চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কীটনাশক ও নেটসহ টমেটো চাষের বিষয়ে সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে বাড়ির পাশের ৬ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করে আশানুরূপ ফলন পেয়েছি।
কৃষক লতিফ আরও বলেন, ৬ শতাংশ জমিতে এ টমেটো চাষ করতে প্রায় দশ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ইতিমধ্যে খরচ উঠে গেছে। এখনো গাছে যে পরিমাণ ফল রয়েছে তাতে আশা করছি সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারব। বেকার যুবকসহ অন্যান্য কৃষকরাও এ টমেটো চাষ করে কম খরচে লাভবান হতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ জানান, এ বছর উপজেলায় দুজন কৃষককে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক বারি হাইব্রিড-৮ জাতের এ টমেটোর বীজসহ অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হয়েছে। ওই দুই কৃষক আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন। কেউ আগ্রহী থাকলে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য অবশ্যই পলিথিনের ছাউনিতে এসব টমেটো চাষ করতে হবে। গ্রীষ্মকালীন এ টমেটো চাষ করে ভালোভাবে পরিচর্যা করলে যে কেউ স্বাবলম্বী হতে পারবেন।