রোজার ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেলেও কোনোটিই সেভাবে সুবিধা করে উঠতে পারেনি। এরই মধ্যে, কোরবানির ঈদের সিনেমা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। কোরবানির ঈদে মুক্তির জন্য ইতিমধ্যে লাইনে দাঁড়িয়েছে ১০টি সিনেমা। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে ‘তুফান’-এর নাম। রায়হান রাফীর এ সিনেমায় নব্বইয়ের দশকের এক গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করবেন শাকিব খান। এতে তাঁর নায়িকা ওপার বাংলার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা।
তুফানের আরেকটি চরিত্র নিয়ে কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল, কে হবেন ভিলেন? কে টক্কর দেবেন গ্যাংস্টার শাকিবকে? আফরান নিশো থেকে যীশু সেনগুপ্ত—অনেকের নামই শোনা গেছে। তবে গতকাল তুফানের অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চরকি জানাল চূড়ান্ত খবর, এ চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে। এরই মধ্যে তুফান টিমের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছেন চঞ্চল।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তুফান সিনেমায় আমাকে বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা যাবে। রায়হান রাফী এই সময়ের প্রতিভাবান একজন পরিচালক। শাকিবের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা একদম অন্য রকম। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালো লাগবে। আর এত বড় তিনটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে বলে অবশ্যই ভালো কিছু হবে।’
তুফান প্রযোজনা করছে এসভিএফ বাংলাদেশ, আলফা আই ও চরকি। এই তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মিলে গত বছরের ডিসেম্বরে আরেকটি বড় সিনেমার ঘোষণা দেয়। রেদওয়ান রনির ‘দম’ নামের ওই সিনেমার মূল ভূমিকায় দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।
পরিচালক রায়হান রাফী এখন ব্যস্ত আছেন তুফানের শুটিংয়ের শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে। এ বিষয়ে রাফী বলেন, ‘চঞ্চল ভাই আমাদের দেশের শক্তিমান অভিনেতা। তুফানে শাকিব ভাইয়ের পাশাপাশি উনাকে পাওয়াটা আমার জন্য আনন্দের।’
আলফা আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘তুফানে শাকিব খান অন্য রকম, সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে ধরা দেবেন দর্শকদের সামনে। এমন একটি শক্তিশালী চরিত্রের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করতে পারেন, এমন একজন শক্তিমান অভিনেতা দরকার ছিল আমাদের। আমি মনে করি, চঞ্চল ভাইয়ের কারণে চরিত্রটির প্রতি জাস্টিস হবে, তাই তুফানে উনার সম্পৃক্ততা।’