কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ীহাট এলাকার আব্দুর রাজ্জাক হোসেন আনছারী নামের এক খামারির অজ্ঞাত রোগে সাত শতাধিক ডিম পাড়া হাঁস মারা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নে বালাবাড়ীহাট এলাকার খামারি রাজ্জাক হোসেন আনছারী তাঁর পুকুরের ওপর ঘর তৈরি করে উন্নত চায় না জিংডং জাতের ৭৫০টি হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করে একটি খামার গড়ে তোলেন। পাঁচ মাস আগে কুড়িগ্রাম সরকারি হাঁস উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ১ দিন বয়সের হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন খামারে। বর্তমানে হাঁসগুলো ডিম দেওয়া শুরু করেছে। এরই মধ্যেই অজ্ঞাত রোগে খামারের প্রায় সব হাঁস মারা গেছে।
খামারি আব্দুর রাজ্জাক জানান, চিলমারী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় থেকে হাঁস মুরগির কলেরা ভ্যাকসিন নিয়ে এসে মাঠকর্মী মাহফুজারকে দিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর থেকে হাঁসগুলো ধীরে ধীরে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে হাঁসগুলো মরে যেতে থাকে। বর্তমানে খামারে মাত্র ৩০টি হাঁস রয়েছে ওইগুলোও রোগাক্রান্ত। খামারি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘হাঁসগুলো আক্রান্ত হওয়া শুরু হলে প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করি। সেখানকার কর্মকর্তাদের পরামর্শে ওষুধ প্রয়োগ করেও ফল পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রাশেদুল হক বলেন, ‘আগে থেকেই ওই খামারের হাঁসের চিকিৎসাসহ যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও হাঁসগুলোর কলেরার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমানেও ভ্যাকসিনের কারণে কোনো সমস্যা হয়নি।’