চৌদ্দগ্রামের স্থানীয় সাংসদ মুজিবুল হকের পরিবারের কথায় চৌদ্দগ্রামের আওয়ামী লীগ চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিনা ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আজিজ মজুমদার, লুতু মিয়া, ফয়েজ আহমদ ও মনির হোসেন প্রমুখ।
এ সময় শাহজালাল আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি ৩০ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে দলের পক্ষে কাজ করেছি। গতকাল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাকে অতিথি করা হয়নি। আমি ইচ্ছা করলে সে অনুষ্ঠানে সমস্যা করতে পারতাম। পত্র-পত্রিকায় ও ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমিও পারি ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে। এদিকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যেতে অনেককে ফোনে কল করে অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করেছে, তাঁরা ভয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছে। এ সকল অন্যায়ের বিচার আমি মুজিবুল হকের কাছে দেব। যদি তিনি বিচার করেন তাহলে তো ভালো কথা। অন্যথায় আমি আমার ব্যবস্থা নেব।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল সম্পর্কে শাহজালাল বলেন, লোকমান একটি ইউনিয়নের নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
মুজিব ভাই তাঁকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন। আমি তো কোনো প্রশ্ন তুলিনি। লোকমান আজ জেলা ছাত্রলীগকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
থানা আওয়ামী লীগের সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, আমি ১৫ বছর ধরে স্থানীয় সাংসদের হাত ধরে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শাহজালাল আমার সম্পর্কে দুর্নীতির যে অভিযোগ করেন, তার একটিও যদি প্রমাণ করতে পারেন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। অন্যথায় শাহজালালের বিরুদ্ধে যেন সংগঠন শৃঙ্খলা-বিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, দলের কাছে সে দাবি জানাই।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার সময় কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ অনেক শক্তিশালী হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি কুমিল্লা শহরে ৩ হাজারেরও অধিক ছাত্র দিয়ে শোভাযাত্রা করেছি। শাহজালাল প্রতিহিংসায় এসব অভিযোগ করছেন। এর বাইরে কিছুই না।’