তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি) নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত বিধি অনুযায়ী নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা নিষিদ্ধ। ওই ধরনের প্রচার প্রচারণাকে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সে নিয়ম না মেনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মতবিনিময়সহ গণসংযোগ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় কালিয়া উপজেলার ১২টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর। এই নির্বাচনে উপজেলার ইউনিয়ন গুলোতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ১২২ জন। গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে ৩ নারী প্রার্থীসহ ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে বলে দলীয় সূত্র গুলো জানিয়েছে।
মনোনয়ন প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নে মোছা হালিমা বেগম, হামিদপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান পলি বেগম ও মাউলী ইউনিয়নে রোজী হক। কলাবাড়িয়ায় তালুকদার রাজিউল হাসান, বাঐসোনায় শাহ মো. ফোরকান মোল্লা, জয়নগরে মুনশি আনোয়ার হোসেন, পহরডাঙ্গায় নির্মল কুমার মণ্ডল, পুরুলিয়ায় এস এম হারুনার রশীদ, চাচুড়ীতে মো. সিরাজুল ইসলাম হিরক, সালামাবাদে এফ এম শামীম আহম্মেদ, ইুলয়াছাবাদে মো. ফিরোজ মল্লিক ও বাবরাহাচলা ইউপিতে মো. তারা মিয়া সরদার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী বলেছেন, তাঁরা আনুষ্ঠানিক কোনো প্রচারণা করছেন না। মুধু মাত্র মাঠ তৈরির জন্য যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
সারা দেশ, খুলনা বিভাগ, সাতক্ষীরা নড়াইল,
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সুজন কুমার বিশ্বাস বলেছেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু কথা শুনেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হলে তখন বিষয়টি দেখা সম্ভব হবে। তা ছাড়া আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগও কেউ করেনি।