নজরুলসংগীতকে মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে আজীবন সাধনা করে গেছেন ফিরোজা বেগম। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হলো ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠান। করোনার কারণে দুই বছর অনুষ্ঠিত হয়নি অনুষ্ঠান। ২০২০ সালের জন্য ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’-এ ভূষিত হন সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান এবং ২০২১ সালের জন্য পুরস্কৃত হন সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. আখতারুজ্জামান শিল্পীদের হাতে স্বর্ণপদক ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
সৈয়দ আব্দুল হাদী ও ফেরদৌসী রহমান—দুই সতীর্থ। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী। পঞ্চাশের দশকে একই বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তাঁরা। সৈয়দ আব্দুল হাদী বাংলায়, ফেরদৌসী রহমান সমাজবিজ্ঞানে। এরপর একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে অনেক অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন তাঁরা। এবার এক মঞ্চে সম্মাননা পেলেন এই দুই শিল্পী।
সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, ‘জীবনের এই পর্যায়ে আনন্দের উৎসগুলো সংকুচিত হয়ে আসে। পদক নিয়েছি এটা অবশ্যই আনন্দের। তবে সবচেয়ে বড় আনন্দ এই পদক গ্রহণের মধ্য দিয়ে ফিরোজা বেগমের মতো গুণী শিল্পীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছি। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রে ফিরোজা আপার সঙ্গে গান গাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার।’
ফেরদৌসী রহমান বলেন, ‘ফিরোজা আপার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল বোনের মতো, আবার বন্ধুত্বও বলা যেতে পারে। নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডে একসঙ্গে ছিলাম আমরা। ফিরোজা আপা বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন সাধনার ফল কী হতে পারে। সারা বাংলাদেশই নয়, সারা ভারতও তাঁকে নজরুলসংগীতের শিল্পী হিসেবে পরম শ্রদ্ধা করেন।’