কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় তাঁর বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মো. জাহিদুল কবীর এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই রাতে জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় ওই ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার দুদিন পর বিষয়টি ওই কিশোরী তাঁর মাকে জানায়। এরপর ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলাটির তদন্ত শেষে ঘটনার ৪ মাস পর ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল দুপুরে ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার বাদী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি গ্রামবাসীর কাছে বিচার চেয়েছিলাম। বিচার করেননি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছিলাম। আদালত আজ রায় দিয়েছেন। আদালত আসামির মৃত্যুদণ্ড দিলে আমি সন্তুষ্ট হতাম। আমি আসামির মৃত্যুদণ্ড চাই।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি (সরকারি কৌঁসুলি) মিজানুর রহমান বলেন, কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায়টা প্রকাশ হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে বিস্তারিত যাচাই বাছাই করে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন দিয়েছেন ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, একটা মেয়ের সর্বোচ্চ নিরাপদ স্থান হলো মা-বাবা। সে বাবাই যদি এমন কাজ করে তাহলে নিরাপত্তা বলতে কিছু থাকে না। এ রায় নজির হয়ে থাকবে। কারণ এমন অপরাধ করলে, সাজা পেতে হয়।