সব সময় থাকে লাইন। শীতের পিঠা পাওয়ার জন্য থাকতে হয় অপেক্ষায়। বিশেষ করে চালের গুঁড়া, গুড় আর নারকেল দিয়ে বানানো ভাপা পিঠার স্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন নানা বয়সী মানুষ ভিড় জমায় খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ার ওমর ফারুকের দোকানে। বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জালিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সড়কের পাশে ওমর ফারুকের শীতের পিঠার দোকান। তিন বছর ধরে এখানে শীতের মৌসুমে ভাপা পিঠা বিক্রি করেন তিনি। পিঠা তৈরির জন্য চন্দ্রাকারে তিনটি চুলায় পাতিল বসানো। চুলাগুলোতে আগুন জ্বলছে আর পানি ভর্তি পাতিলের মুখে বসানো মাটির সাজের ফুটো দিয়ে বাষ্পের তাপে ভাপা পিঠা তৈরি হচ্ছে। একজন সহকারী সেগুলো বিক্রি করছেন।
পিঠা খাওয়ার জন্য আসা মো. ওসমান গনী বলেন, সন্ধ্যার পর পিঠা পেতে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হয়। দূর-দুরন্ত থেকে মানুষ এখানে ভাপা পিঠা খেতে আসে।
ওমর ফারুক বলেন, তিন বছর আগে শীতের পিঠা বিক্রি শুরু করেন। আস্তে আস্তে তিনি সফলতার মুখ দেখেন। একটি পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করেন। প্রতিদিন তাঁর ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়। গড়ে প্রতিদিন দুই হাজার টাকার মতো তাঁর লাভ থাকে। এ টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে ছেলে–মেয়েদের পড়ালেখার শেখাচ্ছেন। তিনি এখন পরিবার নিয়ে ভালো আছেন। পরিবারে সচ্ছলতা ফিরেছে।