হোম > ছাপা সংস্করণ

মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহ

খান রফিক, বরিশাল

বরিশালের সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আগামী ১১ নভেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায় এরই মধ্যে একজন করে প্রার্থীর নামের সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।

এ নিয়ে সদরে বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ ও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ইউনিয়নে ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে বিদ্রোহের পদধ্বনি। কোথাও কোথাও বিক্ষোভও হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণামূলের ত্যাগী নেতারা উপেক্ষিত হয়েছেন। ইতিমধ্যে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দলের একাধিক নেতা।

তবে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর উপজেলার রায়পাশা করাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকনের পরিবর্তে সেখানে জেলা আওয়ামী লীগ প্রস্তাব করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান শাহরিয়ার বাবুকে।

বাবু গত ১৮ আগস্ট ইউএনওর বাসভবনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় প্রশাসনের করা মামলার অন্যতম আসামি। বর্তমান চেয়ারম্যান খোকনের নাম প্রস্তাব না করায় তাঁর অনুসারীরা গত বুধবার পপুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।

রায়পাশা করাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান খোকন বলেন, তিনি তাঁর ইউনিয়নের জনগণকে সবচেয়ে বেশি সেবা দিয়েছেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ একজন নেতার ঢাকার বাসায় এক সভায় তাঁর নাম সুপারিশ করা হয়নি।

এমন সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ইউনিয়নবাসী চাইলে তিনি ভোটে অংশ নেবেন, এ জন্য একটা মার্কা হলেই চলবে।

নগরীর পূর্বাংশের চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবারও নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন মনিরুল ইসলাম ছবি। তবে নৌকার বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হারুন অর রশিদ হাওলাদার।

তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জেলা আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন দেয়নি। নৌকা মার্কা পাবেন না, কিন্তু জনগণের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে থাকবেন। হারুন অর রশিদ বলেন, চরকাউয়ার উন্নয়নে তাঁর অনেক অবদান। দলকে দিয়েছেন কিন্তু কিছুই পাননি। এ কারণেই ক্ষোভ ও রাগে প্রার্থী হচ্ছেন।

তবে চরকাউয়া ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ও বরিশাল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম ছবি বলেন, প্রার্থী যাচাইয়ে জেলা আওয়ামী লীগ তাঁদের কাছ থেকে মতামত নিয়েছে। প্রার্থী যে কেউ হতেই পারেন। রাগ, ক্ষোভও থাকবে। কিন্তু মার্কা না থাকলে মূল্যহীন হবেন তাঁরা।

চরমোনাই ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন মো. নুরুল ইসলাম। তবে চরমোনাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন গিয়াস বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ নুরুল ইসলামের নাম প্রস্তাব আকারে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, মার্কা না পেলেও চরমোনাই থেকে প্রার্থী হবেন।

সায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুবেল হোসেন মামুন তালুকদার বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্নাকে সমর্থন দিয়েছে। তিনি জনগণের সঙ্গে আছেন, সামনেও মাঠে থাকবেন। ১২ অক্টোবর এলাকাবাসীর সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

চাঁদপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশে নৌকার টিকিট পাচ্ছেন হেলাল উদ্দিন। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক এইচ এম জাহিদ। তিনি জানান, আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন মনোনয়ন না পেলেও প্রার্থী হবেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ তাকে মূল্যায়ন করেনি। যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, তিনি এলাকায় আসেন না। আমি দলের দুঃসময়ে ২০০৪ সালে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি। এলাকায় জনগণের পাশে আছি।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, তাঁরা একজন করে প্রার্থীর নাম প্রস্তাব আকারে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। আওয়ামী লীগে অনেক ব্যক্তিই মনোনয়নপ্রত্যাশী। মনোনয়ন না পেলে যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। তবে কেউ বিদ্রোহী হলে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ