জামালপুরের মেলান্দহে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গত রোববার মেলান্দহ থানায় মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতপরিচয়ের কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার দুপুরে জয়ফল বেগম (৫০) ও তাঁর মেয়ে স্বপ্না চৌধুরীর (২৫) মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে পাশাপাশি কবরস্থানে তাঁদের মরদেহ দাফন করা হয়।
জয়ফল বেগমের ভাই মানিক মিয়া বলেন, থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার একটি বিষয় ছেলে কি মাকে জবাই করতে পারে এটা আমার বিশ্বাস হয় না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলার ভেতরের অংশে নিহত জয়ফলের ছেলে জহুরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখানো হয়েছে। জহুরুল ইসলাম ও জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, নিহত জয়ফলের ভাই মানিক মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
গত শনিবার রাত আটটার দিকে নিজ বাসা থেকে মা ও মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জহুরুল চৌধুরীর ও তাঁর স্ত্রী জেসমিনকে আটক করে পুলিশ।
প্রায় ২৫ বছর আগে জয়ফল বেগমের স্বামী কামাল চৌধুরী মারা যান। মেলান্দহ পৌর শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় জয়ফল বেগম তাঁর মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন।