হোম > ছাপা সংস্করণ

প্রথম দেখাতেই এক লাখ টাকা নিতেন ভুয়া সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দামি গাড়িতে লাগানো থাকত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার। দেহরক্ষী সবার হাতে ওয়াকিটকি। গুলশান-১ নম্বর সেকশনের জব্বার টাওয়ারে মাসিক ৫ লাখ টাকা ভাড়ায় আলিশান এক অফিস তাঁর। এসএসসি পাস না-করা এই ব্যক্তি নিজেকে পরিচয় দিতেন অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। যেকোনো কাজের তদবিরের জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই গুনতে হতো ১ লাখ টাকা। ভুয়া পদবি ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিতেন কোটি কোটি টাকা।

গতকাল শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

হাফিজ জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান-১ নম্বরে জব্বার টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে সততা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের এমডি আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার ছোঁয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনএসআইয়ের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবির গুলশান বিভাগ। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন শহিদুল আলম ও আনিসুর রহমান। তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ওয়াকিটকি, অতিরিক্ত সচিবের আইডি কার্ড, ওয়ার্ক অর্ডারের ডকুমেন্ট, ভিজিটিং কার্ডসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় অস্ত্র মামলা ও তেজগাঁও থানায় প্রতারণার মামলা করেছে পুলিশ।

এদিকে আব্দুল কাদেরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ধনকুবের মুসা বিন শমসেরকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হতে শনিবার চিঠি দিয়েছে পুলিশ। ডিবির গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতারক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে মুসা বিন শমসেরের নানা রকম ব্যবসায়িক চুক্তিপত্রসহ নানা তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই করা হবে।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দেওয়া আব্দুল কাদেরের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে। তাঁর বাবা ছিলেন মাঝি। ১৪ বছর ধরে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে অঢেল সম্পত্তি বানিয়েছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার জানান, ঢাকা ট্রেড করপোরেশন, জমিদার ট্রেডিং, সামীন এন্টারপ্রাইজ, চৌধুরী গ্রুপ, হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশন, সততা প্রোপার্টিজ, ডানা লজিস্টিকস, ডানা মোটরসহ নামসর্বস্ব কয়েকটি কোম্পানি বানিয়ে প্রতারণা করছিলেন কাদের।

জয়নাল আবেদিন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে আমি একটি ফর্ম পূরণ করেছিলাম। এরপর লোন নেওয়ার জন্য “প্রোফাইল মেকিং চার্জ” নামে আরও ৫ লাখ টাকা চাইলে ২ লাখ টাকা দিই। ২০ কোটি টাকা লোন পাইয়ে দেওয়ার জন্য লোনের ১ শতাংশ টাকা অগ্রিম চান। অনুরোধ করে আমি ১০ লাখ টাকা দিই। এরপর ঋণ তো পাইনি, উল্টো টাকাটাও আর ফেরত পাইনি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ