মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে আলুগাছে মড়ক দেখা দিয়েছে। মৌসুমের শুরুতে রোপিত আলুবীজ বৃষ্টিতে তলিয়ে নষ্ট হয়। পরে কৃষকেরা দ্বিতীয়বার আলু রোপণ করেন। তবে ভোরে অতিরিক্ত শীত ঘন কুয়াশাসহ টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতে আলুগাছে আবার রোগবালাই দেখা দিয়েছে।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কৃষক আলুর আশানুরূপ উৎপাদন ও দাম নিয়ে চিন্তিত। উপজেলার হাসাইল-বানারী ও ধীপুর ইউনিয়নের জমিগুলোতে পাতা পচা, ডগা পচা ও গোড়া পচা রোগ হয়েছে। বাজারে আলুর দাম পান না কৃষক, তার ওপর বৃষ্টিতে ক্ষতি। এখন আবার নতুন করে ফসলে রোগবালাই নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।
গত মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, আলুগাছে মড়ক থেকে রক্ষায় কৃষকেরা কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। আলুচাষি সোবহান আলী জানান, অসময়ে বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দফায় আলু রোপণ করতে হয়েছে। বিলম্বে রোপণে আলুগাছের পরিপক্বতা কম থাকায় মড়ক দেখা দিয়েছে। তাই তিনি ফসল রক্ষা করতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন।
উপজেলার হাসাইল ইউনিয়নের আলুচাষি শাহ আলম বলেন, ‘আলুগাছের কিছু অংশে পচন দেখা দিয়েছে। পাতার রং ঘোলাটে দেখা যাচ্ছে। ফসলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে ওষুধ ছিটিয়ে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। অতিবৃষ্টির কারণে দ্বিতীয়বার ধারদেনা করে আলু রোপণ করতে হয়েছে। এখন আবার রোগবালাইয়ের কারণে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। জানি না এই টাকা তুলতে পারব কি না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আলম তালুকদার জানান, আলুগাছে মড়ক রোগ প্রতিরোধে উপজেলার সব কৃষকসহ সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। হাসাইল-বানারী ও ধীপুর ইউনিয়নের জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। তবে সঠিক কীটনাশক ব্যবহার করায় এখন তা নিয়ন্ত্রণে।