পাবনার বেড়ায় মোবাইলে গজল শোনার অপরাধে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে বেড়া মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেড়া বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বুধবার শিশু নির্যাতন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম শিহাব (১৩)। সে পৌর এলাকার সান্ড্যালপাড়া মহল্লার মো. সোহেল রানার ছেলে ও বৃশালিখার রহিমা খাতুন মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র। অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারের নাম রহমত উল্লাহ। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার কর্ণঘোষ গ্রামের বাসিন্দা। গত সোমবার রাতে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ওই মাদ্রাসার ছাত্র শিহাবকে গত সোমবার রাতে মাদ্রাসার আবাসিক রুমে সে তার বন্ধুর মোবাইল নিয়ে গজল শুনছিল। সে সময় মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট রহমতুল্লাহ এসে মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে উপর্যুপরি বেত্রাঘাত করতে থাকেন। এ সময় সে তার শিক্ষকের হাত-পা ধরলেও আঘাত করা হয়। সে সময় তাকে শাসিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বলা হয়। পরদিন সকালে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার রহমত উল্লার বিরুদ্ধে শিহাবের দাদি আন্জুয়ারা খাতুন বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় মামলা করেন।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদ্রাসার ছাত্রকে নির্যাতন করার ঘটনা স্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।