যশোরের কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই ব্যস্ততা বেড়েছে ছাপাখানায়। প্রার্থীদের প্রচারের অন্যতম মাধ্যম পোস্টার ও হাত বিলি ছাপাতে দিন–রাত একাকার ছাপাখানার শ্রমিকদের। গত সোমবার নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হয়।
প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রতীক হাতে পেয়েই ছাপাখানায় নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী তৈরির জন্য ভিড় করছেন। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা আগেভাগেই পোস্টার-ব্যানার ছাপান। কিন্তু স্বতন্ত্র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্যদের অপেক্ষা করতে হয় গত সোমবার প্রতীক বরাদ্দ পর্যন্ত।
সদরের নিউ সেতু প্রেসের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী তৈরিতে অন্য সময়ের তুলনায় অনেক ব্যস্ততা বেড়েছে। দুটি মেশিনে পুরোদমে পোস্টার ছাপানোর কাজ চলছে। তবে কালি ও কাগজের দাম বেশি থাকায় দরদাম নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ছাপাখানায় খরচ বাড়ায় লাভ কম হচ্ছে।’
বর্ণমালা ৭১ প্রিন্টিংয়ের মালিক শফিকুল ইসলাম সুইট বলেন, ‘কেশবপুর সদরে মূল ছাপাখানা রয়েছে তিনটি। এর বাইরে আরও ২১ স্থানে এ কাজ করা হয়ে থাকে। নির্বাচনী ব্যানার ও পোস্টারের অর্ডার নিয়ে খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রিন্ট করিয়ে আনা হয়।’
সদর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘সোমবার নির্বাচন অফিস থেকে হেলিকপ্টার প্রতীক পেয়ে শহরের ছাপাখানাগুলোতে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁদের কাজের চাপ বেশি থাকায় চাহিদা মতো পোস্টার সরবরাহ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।’
উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুর রহিম বলেন, ‘ভ্যানগাড়ি প্রতীক পেয়েই ছাপাখানায় গিয়ে পোস্টার তৈরি করে এনে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করছি।’
কেশবপুর-মনিরামপুর প্রিন্টিং ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও শহরের অংকুর প্রিন্টার্সের পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে ছাপাখানা ব্যবসা ভালো যাচ্ছে। এ ব্যবসার সঙ্গে কেশবপুরে জড়িতরা দিন-রাত কাজ করে প্রার্থীদের প্রচারসামগ্রী পৌঁছে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’