বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কোচিং সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ওই কিশোরের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ছালেহা-জহুরা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহেব আলী ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মারধরের শিকার কিশোর অফি ভান্ডারবাড়ি গ্রামের আতিকুল করিম বাবলুর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অফি মানসিক ভারসাম্যহীন। ভান্ডারবাড়ি ছালেহা-জহুরা উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে শিক্ষার্থীদের পড়ান শিক্ষক সাহেব আলী। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল নয়টার দিকে কোচিং সেন্টারে পাঠদান চলছিল। এ সময় অফি কোচিং সেন্টারের ভেতর প্রবেশ করলে শিক্ষক সাহেব আলী তাকে মারধর করেন।
সংবাদ পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্বিতীয় দফায় অফিকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক সাহেব আলী বলেন, ‘কোচিং সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাকে (অফি) সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাকে মারধর করা হয়নি।’
বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করায় আমি তাকে শাসন করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছি।’
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরকে মারধরে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’