হোম > ছাপা সংস্করণ

২৫ ইউপির ১৫টিতেই নৌকার ভরাডুবি

শামিমুজ্জামান, খুলনা

দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে খুলনার ২৫টি ইউপির মধ্যে বিদ্রোহীদের কারণে চেয়ারম্যান পদে ১৫ টিতে নৌকার পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনে ১০ টিতে আওয়ামী লীগ, ১০ টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ৫ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

এদিকে নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করা নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে খুলনার ২৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউপিতে আওয়ামী লীগের আশরাফুজ্জামান বাবুল, শ্রীফলতলায় আওয়ামী লীগের ইসহাক সরদার ও টিএস বাহিরদিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর শেখ বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে নৈহাটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের কামাল হোসেন বুলবুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মনোজিত বালা, মাগুরখালীতে আওয়ামী লীগের বিমল কৃষ্ণ সানা, খর্ণিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার, ধামালিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা জহুরুল হক, আটলিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন, ভান্ডারপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোপাল চন্দ্র দে, রুদাঘরায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. তৌহিদুজ্জামান।

রংপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সমরেশ মণ্ডল, ডুমুরিয়া সদরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গাজী মো. হুমায়ুন কবীর বুলু, শোভনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য, শরাফপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ রবিউল ইসলাম রবি, মাগুরঘোনায় আওয়ামী লীগের মো. রফিকুল ইসলাম হেলাল, গুটুদিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ তুহিনুল ইসলাম ও সাহস ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মো. মাহবুবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

বটিয়াঘাটা সদর ইউপিতে আওয়ামী লীগের পল্লাব কুমার বিশ্বাস, ভান্ডারকোট ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ওবায়দুল্লাহ শেখ ও সুরখালী ইউপিতে আওয়ামী লীগের এস কে জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

নৌকা প্রতীকে পরাজয়ের পেছনে বিভিন্ন স্থানে সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কিছু নেতার সমন্বয়হীনতা ও অসহযোগিতাকে দায়ী করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী বলেন, ‘বিভিন্নস্থানে জেলার অনেক দায়িত্বশীল নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। অনেক স্থানে স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থীদের সমন্বয় ছিল না। আর তার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিনেও জেলা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে দেখা গেছে নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোট চাইতে। সে কারণে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। শুধু তাই নয়, ৫ ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে।

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে দল কঠোর অবস্থানে থাকবে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেননা তাঁদের কারণে ৫টি ইউপিতে বিএনপি নেতারা জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও যারা জয়ী হয়েছেন তাঁদের দলে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ