কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ভোরে মেহেদী হাসান ওরফে ইয়াছিন আরাফাত (২১) নামের এক তরুণকে জেলার দেবিদ্বারের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান ওরফে ইয়াছিন আরাফাত (২১) দেবিদ্বারের বড় শালঘর এলাকার সংচাইল গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তাঁকে গতকাল দুপুরে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন মেহেদী হাসান। ওই কিশোরীকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে দুই সহযোগীর সহায়তায় মুখ চেপে ধরে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান তিনি। পরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মেহেদী হাসান ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউনিয়নের রাণীগাছা এলাকায় ফেলে যান।
খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে মেহেদী হাসান ওরফে ইয়ছিন আরাফাতকে আসামি করে একটি অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ভোররাতে দেবিদ্বার থানা-পুলিশের সহযোগিতায় অভিযুক্ত মেহেদীকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।