নতিফুন বেওয়ার বয়স ১০২ বছর। বয়সের ভারে ঠিকমতো কথা বলতে ও হাঁটতে পারেন না। এরপরও এসেছেন ভোট দিতে। গতকাল রোববার বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নাতি রুদ্র হাসানের কোলে চড়ে ভোট দেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।
নতিফুন বেওয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁর স্বামী মারা গেছেন ৬০ বছর আগে। বাড়ি বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ১ নম্বর দিঘা ওয়ার্ডের পুকুরপড়া গ্রামে। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কতবার ভোট দিয়েছেন তা সঠিক মনে করতে পারছেন না। তাঁর তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন অনেক আগে।
নতিফুন বেওয়া বলেন, এই বয়সে ভোট দিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেছেন তিনি।
এই ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, অনেক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা ভোট দিয়েছেন। যাঁরা হাঁটতে পারেন না, ভোট দিতে তাঁদের সহযোগিতা করা হয়েছে।
দিঘা ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৫২২।
দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট হয়েছে। এই কেন্দ্রে বেলা ১টা পর্যন্ত ৪০ শতাংশ ভোট পড়ে বলে জানান তিনি।
এদিকে দিঘা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ২৪ দিনের এক নবজাতককে দাদির কোলে দিয়ে ভোট দেন ইমরাত জাহান নামের এক নারী।
গতকাল রোববার হয় চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার বাউসা, আড়ানী ও চকরাজাপুর ইউপিতে ভোট হয়।