চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এক্সকাভেটর ধ্বংসের ঘটনায় এক কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৫ নম্বর আমলি আদালতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়। এ কে এম সেলিম (৩৮) নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি মামলাটি করেছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুদ সালাহউদ্দিন এসব তথ্য জানান। বাদী এ কে এম সেলিম উপজেলার জুগিরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে এ কে এম সেলিম অভিযোগ করেন, উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের জুগিরকান্দি গ্রামের বোয়ালজুড়ি খালের খননকাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে খাল থেকে উত্তোলন করা প্রচুর পরিমাণ মাটি দুই পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। তিনি ও এলাকাবাসী স্তূপ করা মাটিগুলো নীতিমালা অনুযায়ী গ্রামের কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল এবং নিচু জায়গা ভরাট করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে আবেদন করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌখিকভাবে জানায় মাটিগুলো নিজ খরচে নিয়ে এলাকার উন্নয়নকাজে ব্যবহার করা যাবে। এ কারণে তিনি ও শাহাদাত হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি চারটি এক্সকাভেটর ভাড়া করে মাটি নেওয়া শুরু করেন। ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মঞ্জুরুল হক সেখানে গিয়ে এক্সকাভেটর পিটিয়ে ভাঙচুর এবং কেরোসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দেন। এতে করে তাঁর এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
আইনজীবী মাসুদ ছালাউদ্দিন বলেন, ‘গত ১৯ জানুয়ারি এলাকার কিছু কুচক্রী মহলের ইন্ধনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুগিরকান্দি গ্রামে এলাকাবাসীর ভাড়া করা চারটি এক্সকাভেটর আগুন দিয়ে ধ্বংস করে দেন। এতে করে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে সেলিম ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক বেগম ফারহানা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আপনার (এই প্রতিবেদক) মাধ্যমে শুনেছি। কাগজপত্র হাতে ফেলে অফিশিয়ালি বক্তব্য দেব।’