ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মাঘ মাসের বৃষ্টি এবং পরবর্তী শীতে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চারা সবুজ রং থেকে হলুদ হয়ে ডগা ভেঙে যাচ্ছে। এ কারণে বোরো আবাদে নিয়ে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় জানায়, বৃষ্টি ও শীতে কিছু বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বোরো চাষে কোনো প্রভাব ফেলবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ বীজতলা তৈরি করেছে চাষিরা। এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মোড়ল হাট গ্রামের কৃষক হাবিব হক জানান, এক একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো চাষ করার জন্য তিনি আট কেজি ধানের বীজতলা তৈরি করছেন। অর্ধেকের বেশি হলুদ রঙের হয়ে দিন দিন ঝলসে যাচ্ছে। বীজতলা কিনে বোরো আবাদ করতে হবে তাঁর।
চার হাজার টাকা খরচ করে রাস্তার ধারে বীজতলা করেছিলেন উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলহাড়া গ্রামের কৃষক মোশাররফ হোসেন। তিনি জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলার যত্ন নেওয়ার পরও অর্ধেক নষ্ট হয়েছে শীত ও বৃষ্টিতে। বাকি অংশ বীজতলা তুলে জমিতে রোপণ শুরু করেছেন। এরপরেও সংকট দেখা দিলে নতুন করে বীজতলা তৈরি করবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় সাত হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আমন ধানের দাম বাড়তে থাকায় বোরো ধানের চাষ বাড়বে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘কয়েকটা স্থানে বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। বোরো চাষে প্রভাব ফেলবে না। এ ছাড়া বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূর্যের দেখা মিললে পলিথিন তুলে বাতাস ও পানি নিয়মিত দেওয়াসহ দ্রুত বীজতলা জমিতে রোপণের উপযোগী করতে আমাদের পরামর্শ নিয়ে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করাও যেতে পারে।’