প্রতিবছরের মতো এবারও শীতের শুরুতে খুলনার দাকোপের বিভিন্ন অঞ্চলের খাল-বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসছে। পাখির কলকাকলীতে অঞ্চলের বিলগুলো মুখরিত হয়ে উঠছে। কিন্তু স্থানীয় পেশাদার শিকারিরা নানা কৌশলে অবাধে শিকার করে চলেছে অতিথি পাখি। এসব পাখি আবার অগ্রিম অর্ডার নেওয়া খরিদ্দারদের কাছে বিক্রিও করছেন তারা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রচণ্ড শীতের প্রকোপ থেকে আত্মরক্ষার্থে সুদূর হিমালয়, সাইবেরিয়াসহ শীত প্রধান অঞ্চল থেকে অতিথি পাখি এ অঞ্চলে আসে। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে বালি হাঁস, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালি কাস্তে চাড়া, পাতাড়ি হাঁস, কাদা খোচা, ডংকুর, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া ইত্যাদি। জানা গেছে, স্থানীয় পেশাদার শিকারিরা আইনের তোয়াক্কা না করে মেতে উঠেছে পাখি নিধনে। তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের খাল, বিল, নদী ও মাঠ থেকে নাইলনের সুতার তৈরি ফাঁদে ও চোখে আলো ফেলে, কেঁচো দিয়ে বড়শি পেতে, কোচ মেরে ও কারেন্ট জাল পেতে এসব পাখি শিকার করছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিকারির সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, প্রতি রাতে ধান খেতে বসে পাখির ডাকের সঙ্গে সুর মেলানো বাঁশি অথবা মোবাইল ফোনে রেকর্ড বাজিয়ে উড়ন্ত পাখিদের নিচে নামিয়ে ফাঁদে ফেলে অতি সহজে শিকার করছে।
এসব পাখি আবার অগ্রিম অর্ডার নেওয়া খরিদ্দারদের কাছে পাখি প্রতি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পরিতোষ কুমার রায় বলেন, তিনি পাখি শিকারিদের খোঁজ পাচ্ছেন না। তবে পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।