বাড়ির ছাদে বা খোলা উঠানে বারবিকিউ করার সময় চলে এসেছে। ডিসেম্বরের হিমশীতল রাতে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজন নিয়ে অনেকেই বারবিকিউ পার্টি করে থাকেন। ভুল এড়িয়ে গ্রিল করতে ৫টি বিষয় মাথায় রাখতে পারেন।
একইভাবে গ্রিল করা
সব চুলায় একভাবে গ্রিল করবেন না। কয়লার ওপর গ্রিল করার পদ্ধতি হবে অন্য রকম। সব সময় চুলার পাশে থাকতে হবে। কয়লা ঠিকভাবে জ্বলছে কি না, তাপ সব জায়গায় পৌঁছাচ্ছে কি না, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। গ্যাসের গ্রিল চুলায় এসব ঝামেলা নেই। একদম আনাড়ি হলে গ্যাসের গ্রিল চুলা ব্যবহার করাই ভালো।
তাপমাত্রা না মাপা
অনেক সময় ওপরের দিকের মাংস পুড়ে যায় কিন্তু ভেতরের অংশ কাঁচা থেকে যায়। এ সমস্যা এড়াতে গ্রিল করা মাংসের তাপমাত্রা মাপতে হবে। গরুর মাংস ভালোভাবে গ্রিল করতে গেলে ফুড থার্মোমিটারে তাপমাত্রা অন্তত ১৫৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। মাংসের সবচেয়ে ভারী অংশের তাপমাত্রা মাপতে হবে।
চুলা থেকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া
বারবিকিউয়ের সস মাংসের ভেতরে ঢোকে গ্রিল হয়ে যাওয়ার পর। তাই গ্রিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলা থেকে সরাবেন না। চুলার ওপর কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। গ্রিল গ্রেটের সঙ্গে যখন মাংস সেঁটে থাকবে না, আলগা হয়ে উঠে আসবে, তখনই বুঝবেন আপনার গ্রিল তৈরি হয়ে গেছে।
বারবার খোলা
ঢাকনাসহ চুলা হলে বারবার খুলে না দেখাই ভালো। প্রতিবার ঢাকনা তোলার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরের সব তাপ বের হয়ে আসে। ভেতরের তাপমাত্রাও হ্রাস পায়। এতে গ্রিল হতে সময় বেশি লাগে। তাই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
আগেই সস ব্রাশ করা
বারবিকিউ বা টেরিয়াকি সস গ্রিল করা মাংসে ব্রাশ করলে আলাদা ফ্লেভার পাওয়া যায়। তবে এ সসগুলো রান্নার শুরুতেই ব্রাশ করতে যাবেন না। এগুলোয় চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই অল্প সময়েই মাংস পুড়ে যায়। সস ব্রাশ করতে হবে নামানোর কয়েক মিনিট আগে। এতে মাংস সহজে পুড়ে যাবে না।
সূত্র: রিয়েল সিম্পল ডট কম