আড়াই বছর বয়সী শিশুর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আব্দুল বারী মোড়ল নামের এক ব্যক্তি। নিজ মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর পর নাতনি জান্নাতুল মাওয়া ঐশির জীবনও হুমকির মুখে দাবি করে গত শনিবার রাতে তিনি ওই জিডি করেন।
মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় জামাইসহ অন্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করায় ক্ষুব্ধ অভিযুক্তরা তাঁর নাতনীর ক্ষতি করে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে তিনি সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদরে ব্যবসায়ী স্বামীর ভাড়া বাসায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় আব্দুল বারীর মেয়ে রিপুনা খাতুনের। শোয়ার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় যৌতুকের দাবিতে সর্বশেষ কয়েক দিন টানা নির্যাতনের শিকার হন রিপুনা উল্লেখ করে স্বামী জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে লিখিত অভিযোগ করে মৃতের পরিবার।
ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে ,আদালতে করা অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে অভিযুক্ত জিয়াউর ও তাঁর লোকজন। কিন্তু কোনোভাবেই অভিযোগ প্রত্যাহারে রাজি করাতে না পেরে অভিযুক্তরা তাঁর নাতনীর ক্ষয়ক্ষতি করে তাঁদের উল্টো মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করছে। এমন অবস্থায় তিনি মেয়ের হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ নাতনির জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রিপুনার মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে তাঁর পিতা ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করছে যে রিপুনাকে মেরে মরদেহ ওড়নায় ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের দাবি একদিন আগে বাবার বাড়ি থেকে এসে ঝগড়া করে সে আত্মহত্যা করে।