দেশের অনেক জায়গার মতো বরিশালের বাবুগঞ্জে কমেছে খেজুরের গাছ। সেই সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে, খেজুরের রস ও খেজুরের পাটালি গুড়। একটা সময় শীত এলেই ব্যস্ত হয়ে পড়তেন গাছিরা। কিন্তু এখন গাছিদের তেমন গাছ কাটতে দেখা যাচ্ছে না।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম, মোতালেব হোসেন, আলমগীর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, দেশে নিপাহ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিলে আতঙ্কে অনেকে খেজুরের রস খাওয়া ছেড়ে দেন। সেই সুযোগে ইটভাটা মালিকদের দৌরাত্ম্যে দেদার খেজুরগাছ কেটে বিক্রি করতে থাকেন লোকজন।
আগে বিকেল হতেই গাছে গাছে হাঁড়ি বসানো, সকালে রস সংগ্রহ করা, সংগৃহীত রস দিয়ে গুড় তৈরি করা অথবা বাঁকে করে হাঁড়ি ভর্তি রস বাজারে নিয়ে যেতেন গাছিরা। খেজুরের গুড় আর পাটালির ম ম গন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়াত। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুরগাছ।
সরেজমিনে উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের গাছি মো. পারভেজ মৃধাকে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য গাছ কেটে হাঁড়ি পাততে দেখা গেছে। এই গাছি জানান, ইতিমধ্যে গাছ প্রস্তুত করে রস সংগ্রহ করা শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত গাছে রস আসা শুরু হয়নি। তিনি ৩০-৪০টি গাছ কাটেন। একবার গাছ ছাঁটলে তিন-চার দিন রস সংগ্রহ করা যায়।
বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন বলেন, খেজুরের গাছ রোপণে লোকজনের মধ্যে তেমন আগ্রহ না থাকায় খেজুরের রস হারিয়ে যাচ্ছে।