ভারত সরকারের নতুন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে প্রতি ১ হাজার পুরুষের বিপরীতে নারী আছেন ১ হাজার ২০ জন। অর্থাৎ সংখ্যার দিক থেকে ভারতে পুরুষকে ছাড়িয়ে গেছেন নারীরা। তবে এ তথ্য ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সমীক্ষাতে ভারতের ৩০ কোটি পরিবারের মধ্যে মাত্র ৬ লাখ ৩০ হাজারের তথ্য যাচাই করা হয়েছে।
ভারতের পপুলেশন ফান্ডের পরিচালক পুনম মুত্রেজা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ‘আদমশুমারি দেশের সমগ্র জনসংখ্যার জরিপ করে এবং সামগ্রিক লিঙ্গ অনুপাতের আরও সঠিক হিসাব প্রদান করে।’
অনেকে বিষয়টিকে ভারতের ‘উল্লেখযোগ্য সামাজিক পরিবর্তন’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। এ ছাড়া দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ‘নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের’ কারণে হয়েছে।
ভারতীয় অনেক সংবাদমাধ্যম এটিকে ‘বড় অর্জন’ এবং ‘জনসংখ্যাগত পরিবর্তন’ উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছে।
তবে সরকার এবং গণমাধ্যমের এই দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে বর্ণনা করে সাবু জর্জ নামে একজন গবেষক বলেছেন, ‘গত ১০০ বছর ধরে আদমশুমারি বারবার দেখিয়েছে যে ভারতে নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বেশি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, প্রতি ১ হাজার পুরুষের বিপরীতে ৯৪০ জন নারী ছিল এবং শিশুলিঙ্গ অনুপাতে ১ হাজার ছেলের বিপরীতে মেয়ে ছিল ৯১৮ জন। ১০ বছরেই নারী-পুরুষের সংখ্যায় এত বড় পরিবর্তন কীভাবে হলো?’
জর্জ আরও বলেন, ‘সমীক্ষার এই সংখ্যাগুলো অবিশ্বস্ত। এটি ঘটার মতো যুক্তিসংগত কোনো কারণ নেই।’